যখন আমি ভীষন ছোট হামা দিতে যেতাম পড়ে, বাবা তুমি তখন আমায় তুলে নিতে কোলের পরে। ঘরের মাঝে এদিক ওদিক হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেতাম, তখন তোমার পিঠে চেপে দিগ্বিদিক ঘুরতে যেতাম। তোমার পাশে হাত টি ধরে আমার সেই হাঁটতে শেখা, সরস্বতী পুজোর দিনে হাতেখড়ির প্রথম রেখা। তারপরেতে ভর্তি হলাম পাড়ার সেই পাঠশালাতে, ঘুমের ঘোরে পড়তে যেতাম ভোরের বেলা তোমার সাথে। আজও আমার মনে আছে পুজোর ছুটি ঠাকুর দেখা, বাবার কথায় সেদিন আমার প্রথম সেই কবিতা লেখা। রবিবারে ছুটির দিনে শুধুই পড়া পড়া খেলা, হুটোপুটি ছুটোছুটি চলত খালি সারা বেলা। মনে পড়ে বাবার সাথে ঘুরতে যেতাম দীঘা পুরী, সাগর পাড়ে বাবা আমি কুড়োতাম পাথর নুড়ি। সবাই কে কাঁদিয়ে দিয়ে একদিন এক শীতের ভোরে, সুন্দর এই ধরনী থেকে চলে গেলে অনেক দূরে। দেখেছিলাম ঘুমিয়ে ছিলে সাদা ওই বিছানা পরে, পড়লে মনে সেই ছবিটা আজও মন টা কেমন করে। এখন আমি অনেক বড় ব্যস্ত দিনের ডাক, অনেক খুশীর আলোর মাঝে মস্ত কোথাও ফাঁক। বাবা তুমি প্রেরণা আমার দিশা আঁধার পথে, যতই তুমি থাকো দূরে আছো সবার সাথে। শিখিয়ে ছিলে মানুষ হতে সেটাই হবার চেষ্টা করি, বাধা বিপদ সামনে এলে বাবা তোমায় স্মরণ করি। এখন তুমি নেই আর সাথে তবুও যেন আছো পাশে, তোমার ছবি তোমার মতই আজও আমায় ভালবাসে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।